W B C S Main Question Paper 2017 Compulsory Bengali

W B C S Main Question Paper 2017 Compulsory Bengali WBCS Descriptive Bengali

W B C S Main Question Paper 2017 Compulsory Bengali WBCS Descriptive Bengali with Pathak sir

wbcs main bengali question paper 2017

wbcs bengali question paper W B C S Main Question Paper 2017 Compulsory Bengali

W.B.C.S. Main Question Paper 2017 Compulsory Bengali

wbcs bengali mains question paper

WBCS EXAMINATION MAIN COMPULSORY QUESTION PAPER 2017

PAPER -1

Wbcs bengali compulsory question paper 2017

TIME ALLOWED :3 HOURS

FULL MARKS :200

If the questions attempted are in excess of the prescribed number, only the questions attempted first up to the prescribed number shall be valued and remaining ones ignored.

১। পরিচয় বিবৃত না করে নিম্নলিখিত যে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনার অভিমত, কোন বাংল দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের কাছে অনধিক ১৫০ শব্দের মধ্যে পত্রাকারে বিবৃত করুন নিজের নাম ঠিকানার পরিবর্তে ক. খ, গ ইত্যাদি লিখুন) : ৪০

 (ক) জীবনে সাহিত্য পাঠের ভূমিকা

(খ) জনজীবনে গণমাধ্যমের প্রভাবের দুইদিক

(গ) শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার গুরুত্ব

২। নিম্নলিখিত বিষয় সম্পর্কে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি সম্পাদকীয় প্রতিবেদন লিখুন :৪০

“যন্ত্রণামুক্তির শ্রেষ্ঠ উপায় স্বেচ্ছামৃত্যু”

৩। নিম্নলিখিত অংশের সারমর্ম লিখুন: ৪০

মনুষ্য মাত্রেই পতঙ্গ। সকলেরই এক একটি বহ্নি  আছে—সকলেই সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরিতে চাহে, সকলেই মনে করে সেই বহ্নিতে পুড়িয়া মরিতে তাহার অধিকার আছে—কেহ মরে, কেহ কাঁচে বাধিয়া ফিরিয়া আসে। জ্ঞান-বহ্নি, ধন-বহ্নি, মান-বহ্নি, রূপ-বহ্নি, ধর্ম-বহ্নি, ইন্দ্রিয়-বহি—সংসার বহ্নিময়। আবার সংসার কাঁচময়। যে আলো দেখিয়া মোহিত হই–মোহিত হইয়া যাহাতে ঝাঁপ দিতে যাই–কই, তাহাত পাই না। আবার ফিরিয়া বোঁ করিয়া চলিয়া যাই। কাঁচ না থাকিলে সংসার এতদিন পুড়িয়া যাইত। অনেকে জ্ঞানবহির আবরণ-কাঁচে ঠেকিয়া রক্ষা পায়, সক্রেতিস, গেলিলিও তাহাতে পুড়িয়া মরিল। এই বহির দাহ যাহাতে বর্ণিত হয়, তাহাকে কাব্য বলি। মহাভারতকার মান-বহি সৃজন করিয়া দুর্যোধন পতঙ্গকে পোড়াইলেন, জগতে অতুল কাব্যগ্রন্থের সৃষ্টি হইল। জ্ঞানবহিজাত দাহের গীত Paradise Lost ধর্মবহির অদ্বিতীয় কবি সেন্ট পল। ভোগবহ্নির পতঙ্গ অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রা। রূপবহ্নির রোমিও ও জুলিয়েত। ঈর্যাবহির ‘ওথেলো’। গীতগোবিন্দ ও বিদ্যাসুন্দরে ইন্দ্ৰিয়বহ্নি জ্বলিতেছে। স্নেহবহ্নিতে সীতা পতঙ্গের দাহ জন্য রামায়ণের সৃষ্টি।

৪। অনুচ্ছেদটি পাঠ করে তার ভিত্তিতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দিন : 10 x ৪ = 80

আমরা বাইরের শাস্ত্র থেকে যে ধর্ম পাই, সে কখনোই আমার ধর্ম হয়ে ওঠে না। তার সঙ্গে কেবলমাত্র একটা অভ্যাসের যোগ জন্মে। ধর্মকে নিজের মধ্যে উদ্ভূত করে তোলাই মানুষের চিরজীবনের সাধনা। চরম বেদনায় তাকে জন্মদান করতে হয়, নাড়ীর শোণিত দিয়ে তাকে প্রাণদান করতে হয়, তারপরে জীবনে সুখ পাই আর নাই পাই আনন্দে চরিতার্থ হয়ে মরতে পারি। যা মুখে বলছি, যা লোকের মুখে শুনে প্রত্যহ আবৃত্তি করছি, তা যে আমার পক্ষে কতই মিথ্যা তা আমরা বুঝতেই পারিনে। এদিকে আমাদের জীবন ভিতরে ভিতরে নিজের সত্যের মন্দির প্রতিদিন একটি একটি ইট নিয়ে গড়ে তুলছে। জীবনের সমস্ত সুখ দুঃখকে যখন বিচ্ছিন্ন ক্ষণিকভাবে দেখি তখন আমাদের ভিতরকার এই অনন্ত সৃজনরহস্য ঠিক বুঝতে পারি নে প্রত্যেকটা পদ বানান করে পড়তে হলে যেমন সমস্ত বাক্যটার অর্থ এবং ভাবের ঐক্য বোঝা যায় না সেই রকম। কিন্তু নিজের ভিতরকার এই সৃজন ব্যাপারের অখণ্ড ঐক্যসূত্র যখন একবার অনুভব করা যায় তখন এই সমান অনন্ত বিশ্বচরাচরের সঙ্গে নিজের যোগ উপলব্ধি করি। বুঝতে পারি, যেমন গ্রহ নক্ষত্র চন্দ্র সূর্য জ্বলতে জ্বলতে ঘুরতে ঘুরতে চিরকাল ধরে তৈরি হয়ে উঠছে আমার ভিতরেও তেমনি অনাদিকাল ধরে একটা সৃজন চলছে; আমার সুখ দুঃখ বাসনা বেদনা তার মধ্যে আপনার আপনার স্থানগ্রহণ করছে। নিজের প্রবহমান জীবনকে যখন নিজের বাহিরে নিখিলের সঙ্গে যুক্ত করে দেখি তখন জীবনের সমস্ত দুঃখগুলিকেও একটা বৃহৎ আনন্দসূত্রের মধ্যে প্রথিত দেখতে পাই। আমি আছি এবং আমার সঙ্গে সমস্তই আছে— আমাকে ছেড়ে কোথাও একটি অণু পরমাণুও থাকতে পারে না; এই সুন্দর শরৎ প্রভাতের সঙ্গে, এই জ্যোতির্ময় শূন্যের সঙ্গে, আমার অন্তরাত্মার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার যোগ—অনন্ত জগৎপ্রাণের সঙ্গে আমার এই যে চিরকালের নিগূঢ় সম্বন্ধ সেই সম্বন্ধেরই প্রত্যক্ষ ভাষা এই সমস্ত বর্ণ-গন্ধ গীত।

(১) ধর্ম সম্পর্কে লেখকের নিজস্ব ধারণা কী?

(২) কীভাবে বিশ্বচরাচরের সঙ্গে লেখক নিজের যোগ উপলব্ধি করেছেন?

(৩) বিরাট ব্যাপার বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?

(৪) ‘এই সমস্ত বর্ণ-গন্ধ-গীত’ বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?

৫। নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদটির বঙ্গানুবাদ করুন : ৪০

Two persons once boarded the same compartment of a train. One was an Englishman and the other was Bengalee gentleman. The Englishman was an army officer, tall and strong by built. he appeared to be proud of himself as he was an Englishman. The Bengalee gentleman headed him not and was soon asleep. Soon after the Englishman picked up the gentleman’s shoes and threw them out. Then he too fell asleep. The Bengalee gentleman woke up, looked about for his shoes. He understood it all. He then took the Englishman’s long coat and threw it out. Next morning the Englishman shouted, “where is my coat?” “Your coat has just gone to fetch my shoes”, bravely replied the gentleman. The gentleman was Sir Ashutosh Mukherjee, “The Tiger of Bengal.”

Shopping Cart